
“হাওয়া ” ছবি নিয়ে মামলা
বন্য প্রানী সংরক্ষণ আইনে পরিচালকের শাস্তি হতে পারে l
হাওয়া ছবিতে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় নিয়ে মাঝি সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে l পাখিটি কি তার শখের জন্য নিয়ে গেল নাকি তীর কতো কাছে তা বুঝানোর জন্য নিয়ে যাওয়াটা রীতি – সেটা খুব পরিস্কার বোঝা যায়নি – তবে ইতিহাস বলে এইটা রীতি l তবে বর্তমানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নিয়ম অনুযায়ী বনের পাখি খাঁচায় পোষতে পারবেন না l তা দণ্ডনীয় অপরাধ l
অন্যদিকে পরিবেশ প্রেমীরা এই সিনেমায় শালিকের খাঁচায় রাখার দৃশ্যটি সাধারণ মানুষকে একি কাজ করার জন্য উৎসাহিত করবেন বলে মনে করছেন l
হোসেন সোহেল – বাংলাদেশে একজন পরিবেশ সাংবাদিক হিসাবে অত্যন্ত সৎ ও দায়িত্বশীল সংবাদ কর্মী l
তিনি এই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন তার ফেইসবুক ওয়াল থেকে নেয়া লেখা
“আমি আবারও বলি, বারবার বলবো হাওয়া মেকিং, সিন, রং, চরিত্র, ন্ত্রীপ্ট, এমনকি সিনেমার মোট গল্প নিয়ে কোন কথা আমি বলিনি। আমি সিনেমা দেখেছি এবং জেনেছি হাওয়া সুন্দর একটি সিনেমা।
কিন্তু আমার বক্তব্য সেই শালিক পাখি নিয়ে…।
মামলা পরিপ্রেক্ষিত স্টাটাস নিয়ে অনেকে আমার পোস্টে কমেন্টে গালি দিয়েছেন আমি সবারটা আর্শিবাদ হিসেবে নিয়েছি। কেউ বলেছেন কাঁটাবন বা কেউ বলেছেন চিড়িয়াখানা বন্ধ হবে না কেন!? ধন্যবাদ
অথচ আমি যে কথাটি বলতে চাই সেটা সিনেমার শালিক পাখি নিয়ে…।
হাওয়া সিনেমা এই সময়ে সারাদেশে একটি বড় বাজার সৃষ্টি করেছে। আমি বা আমরা সেই বাজারে আঘাত করতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী আইনে ২০১২ সালের আইন দিয়ে। একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি করে তারা যে সিনেমার আংশিক অংশ শ্যুটিং করেছেন তা ঠিক করেননি। আইনত অপরাধ …
বর্তমানে হাওয়া এদেশে যত বড় বাজার পেয়েছে সেই জায়গাতে আমার কথা। হাওয়ার পরিচালক যে আইন অমান্য করেছেন সেটাই অপরাধ। অথচ পরিচালক সেই অপরাধের কথা জানেনা বরং না জেনে তারা চেজ করেছেন। এবং তা ভুল করেছেন। আমরা বা আমিও চাই মুখ থুবড়ে পড়া সিনেমা হলে মানুষের ভীড় হোক ….
এদিকে যেহেতু হাওয়ার বড় বাজার রয়েছে সেখানেই ঢিল মারা হয়েছে। কারণ সেই জায়গা থেকে আগামীতে ভুল করেও কোন নাটক নির্মাতা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, সিনেমা নির্মাতা এমনকি ডকু নির্মাতারা এমন কাজ না করেন ,……
সবার কমেন্টে যা লিখেছি ….
আজ বুঝবেন অথবা কোনদিনও বুঝবেন না। আমি যা বলেছি আপনার পরের প্রজন্মের জন্য। এখন নয় পরে কোনদিন বুঝতে পারবেন, হয়তো প্রকৃতি আগে এরপর সিনেমা। এবং আজকের পর থেকে খাঁচায় পোষা কোন পাখি পালন করা যাবেনা যেটা বনের পাখি।
হাওয়া অনেক হট কেক একটি সিনেমা। এই সিনেমা দিয়ে এটাই বুঝাতে চাই যেন আগামীতে কেউ কোন ড্রামা টিভিসি বিজ্ঞাপন সিনেমা ডকু কিংবা কিছু করতে গেলে বনের কোন পশুপাখী খাঁচায় ধরে শুট করতে না পারে। এবং তা বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া..
মনে রাখবেন আমি কেউ কারও দুশমন নই।
আমাদের প্রজন্মকে বুঝাতে আমাদের প্রকৃতি ভালো রাখতে হবে …”