
জলবায়ু আতঙ্কে বাইডেন, ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট//নিয়ন মতিয়ুল
বিশ্বসেরা ‘বিজ্ঞানমূর্খ’ রাষ্ট্রপ্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ে পৃথিবী যে অর্ধেক দূষণ আর বিপদমুক্ত হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো বিদায় নিলেই অর্ধেক না হলেও সিকিভাগ বিপদ কমবে পৃথিবীর। আর তাতে তৃতীয়বিশ্বসহ অন্যান্য দেশ জলবায়ু ইস্যু নিয়ে উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোর গলায় কথা বলতে পারবে।
তবে এই মুহূর্তে বিশ্বের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ যে, জলবায়ু দানবের দফায় দফায় থাবায় বিধ্বস্ত দেশ বিশ্বের মোড়লরাষ্ট্রখ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অবশেষে দারুণ বোধদয় হলো। তার দেশ যে জলবায়ু–সংক্রান্ত দুর্যোগের মুখে পড়েছে তা ভয়ার্তকণ্ঠে স্বীকার করলেন। একইসঙ্গে এই সংকট মোকাবিলায় ঐতিহাসিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও বললেন।
বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়া হারারি কিন্তু বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় বিজ্ঞান দ্রুততম সময়ে বেশি সফল। এক্ষেত্রে ব্যর্থতা যা তা সবই রাজনীতিক আর রাষ্ট্রনায়কদের সমন্বয়হীনতা। তিনি আরো বলেছেন, করোনাভাইরাস বিজ্ঞানের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনীতিকরা ভুলপথে না হাঁটলে আগামীতে এমন মহামারি খুব কম ক্ষয়ক্ষতিতেই মোকাবেলা করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
এসব কারণে করোনামহামারির চেয়েও ভয়াঙ্করভাবে ধেয়ে আসা জলবায়ু সংক্রান্ত মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় ট্রাম্পের মতো রাষ্ট্রনায়কদের চেয়ে বাইডেনরাই পৃথিবীর জন্য বেশি সহায়ক। মার্কিন রাষ্ট্রনায়কের এমন উপলব্ধি আসছে নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কোপ ২৬) সফল করার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
আর তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ত থাকা তরুণদের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা জানি না, তবে সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ যে খুশি হবে সেটা শতভাগ নিশ্চিত।
লেখক: নিয়ন মতিয়ুল
সাংবাদিক