আজ বিশ্ব হাতি দিবস

#World_Elephants_Day_2021
#কয়েক_বছরে_নিহত_হাতিগুলোর_ডেথ_রেফারেন্স
গত কয়েক বছরে দেশের দক্ষিণ চট্রগ্রামে প্রায় ২৫ টি হাতির নির্মম মৃত্যু হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলের বনভূমিতে। যাদের বেশিরভাগ বিষাক্ত কাঁঠাল খাইয়ে, বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে ও গুলি করে হত্যা করার কথা গণমাধ্যম সহ প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাতে উটে এলেও অধিকাংশ পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে বার্ধক্যজনিত কারনে বা পাহাড় থেকে পড়ে বা গাছে খোঁচা খেয়ে বা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যাতে সহজেই খুনীরা পার পেয়ে যায় আর একের পর এক নিষ্টুর ভাবে হাতি হত্যা করছে অব্যাহত ভাবে । তাই ঘাকতদের চিহ্নিত করার আগে তাদের পৃষ্টপোষকদের চিহ্নিত করা আজ সময়ের দাবী।

#স্বজন_হত্যার_প্রতিশোধ_নিতে_ও_রোহিঙ্গাদের_বসতি_নিরাপদ_করতে_৯০_শতাংশ_হাতি_হত্যা_করা_হয়েছে

#রোহিঙ্গা_বসতির_কারনে_বন্ধ_হওয়া_১২টি_করিডর_খুলে_না_দিলে_মানুষ_হাতি_সংঘাত_চলবেই
খুব ঠান্ডা মাথায় খুনীরা একের পর এক গুলি করে ও বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে এবং বিষ দিয়ে হত্যা করে চলেছে হাতি গুলো। সরকার বা বন বিভাগ এখানে অসহায় বা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রতিটি হত্যাকান্ডকে স্বাভাবিক মৃত্যুর বা দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও হত্যাকারীরা প্রতিটি হত্যাকান্ডের কিছু ক্লো, ভুলে বা ইচ্ছে করে রেখে গেছে। যেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কর্তারা বুঝতে পারে ওদের হাত কতটা শক্তিশালী তাদের কে ধরা বা চোঁয়া অসম্ভব । ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাতি হত্যার সাজা হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা ও ৭ বছরের সাজা দেবার কথা থাকলেও এই আইনে কারো সাজা হয়েছে বলে জানা নেই।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমনের পর উখিয়া টেকনাফের এক তৃতীয়াংশ বনভূমি উজাড়ের ফলে বনে খাদ্য সংকটের কারনে হাতি বার বার লোকালয়ে হানা দিচ্ছে, আর তাতে হাতির সাথে মানুষের সংঘর্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে ১৩ জন রোহিঙ্গা , তাছাড়া কয়েকশ জন আহত হয়েছে হাতির সরাসরি আক্রমন ও হাতির ভয়ে পালাতে গিয়ে। তেমনি গত কয়েক বছরে ২৭ টির অধিক এশিয়ান বন্য হাতিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হলেও কোন অপরাধীকে গ্রেফতারপূর্বক সাজা দেয়া হয়নি বলে এতটা নির্মমভাবে একের পর এক হাতি কে হত্যা করছে সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। তাছাড়া হত্যার শিকার হাতির দায়সারা গোছের সুরতহাল রিপোর্টের কারনে মূলত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন সম্ভব হয়ে উটেনা !
হাতি হত্যার
#কয়েক_বছরে_হাতির_মৃত্যুর_ঘটনাস্থল_ও_তারিখ
★২১/০৪/২০২১ বুধবার রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগান সংলগ্ন পাহাড়ের নীচে কাদার গর্তে পড়ে ( আদিম হাতি হত্যার পদ্ধতি) দশ মাস বয়সী একটি হাতির মৃত্যু হয়।
★২০/০৪/২০২১ মঙ্গলবার – ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁ ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ এলাকায় একটি এশিয়ান বন্য হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়, যা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
★২২/০৩/২১ সোমবার – ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁ ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের পূর্ণগ্রাম বনবিটস্থ গামারি ঘোনা ঝিরি এলাকায় গুলিবিদ্ধ একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায় !
★১৩/০৩/২০২১ শনিবার – টেকনাফ বাহার ছড়া থোয়াইঙ্গা জোরা নামক স্থানে ৬০ বছর বয়সী একটি স্ত্রী হাতির মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তার শরীরে গুলির ক্ষতচিহ্ন ঢাকতে কলা গাছের ছোট ছোট ডাল কেটে ডুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। গত ১০ই মার্চ বাহারছড়া হোয়াইক্যং ঢালা সংলগ্ন হাতি খোলার মাঠ নামক স্থান থেকে যে বাচ্চা হাতিটি উদ্ধার করা হয়েছিল এটি তার মা হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। হয়ত বাচ্চার খোজে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করেছে মা হাতিটি।
★২০/১২/২০ রোববার – ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ঈদগাঁ ইসলাম পুর রাজঘাট বিটের ক্যাম্পের চর এলাকায় গুলিবিদ্ধ একটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
★০৯/১২/২০২০- সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা সীমান্ত বাজার এলাকার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন কানা মানিক (৬০) নামে পোষা হাতির মৃত্যু হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে হাতি টিকে হত্যা করে তাদের হাড় ও চামড়া জাদুঘরে পাচারের উদ্দেশ্যে তাকে নাঁওগা থেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
★২৩/১১/২০২০ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া, বড় হাতিয়া কুমিরা ঘোনা এলাকায় ২৫-৩০ বছর বয়সী পুরুষ হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। যার শুড়, দাঁত ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
★১৬/১১/২০২০ ককসবাজার জেলার রামু উপজেলার মিঠাছড়ি জঙ্গলে পরিকল্পিত ভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে একটি বয়ষ্ক হাতি হত্যা করা হয়।
★১৫/১১/২০২০ শনিবার – রামু উপজেলা দক্ষিণ মিঠাছড়ি ৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন খরলিয়ার ছড়া শাইরার ঘোনা এলাকায় গুলি করে ও বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে একটি বন্য হাতি হত্যা করা হয়েছে বলে জানান রামু উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন জুলকার নায়েম।
★০৪/১১/২০২০ বুধবার ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন চকরিয়া ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাকালী বিটের কালাপাড়া এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ চক্র গুলি করে হাতিটিকে হত্যা করে ও হাতির সূড় এবং দাঁত উটিয়ে নিয়ে যায় !
★০৭/০৯/২০২০ শেরপুরে একটি হাতির মৃত্যু
★ ১৩/০৬/২০২০ বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার পাহাড়ি ঝিরিতে ১২ বছর বয়সী বন্য হাতিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়, হাতি টির মৃত্যুর ১২ ঘন্টা আগে হাতি হত্যার উদ্দেশ্যে পাতা একই ফাঁদে (২২) বছরের আব্দুর রহমান নামের স্থানীয় যুবক মৃত্যু বরন করেন।
★ ১১/০৬/২০২০ বাঁশখালী বৈলছড়ি ইউনিয়নের পাথারিয়াখোল এ কাঁটা লের সাথে বিষ খাইয়ে ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখে যা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিটির মৃতদেহ তুলে পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ঐ এলাকায় বন্য হাতি উৎপাত করত ও বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের আহত ও নিহত করার কারনে প্রতিশোধ পরান হয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা মত প্রকাশ করেন।
★ ১২/০৬/২০২০ টেকনাফ উপজেলার হ্নিলা মরিচ্যাঘোনা এলাকায় ৪০ বছর বয়সী একটি পুরুষ হাঁতিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে সেদিন দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী হাতি চলার পথে অবৈধ বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে ও মূল বিদ্যুতের খুটির ১০ হাজার ভোল্টের তার অস্বাভাবিক ভাবে নীচে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল যেন হাতি চলার পথে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়।
★ ০৩/৫/২০২০ এ বছরের ৩রা মে ককসবাজার সদর, ইসলামাবাদের কাইস্যা ঘোনায় গুলি করে মা হাতিকে হত্যা করে শাবকের সামনে ! যে অসহায় হাতি শাবক টির আর্তচিৎকার প্রতিটি হৃদয়বান মানুষের বেবেককে নাড়া দিয়েছে।
★ ২১/০৩/২০২০ এ বছরের ২১ শে মার্চ রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের গোয়ালিয়া পালং এলাকার মোহাম্মদ হোসনের বাসার পাশের ধান ক্ষেতে ৩০ বছর বয়সী মৃত হাতি দেখতে পায়, স্থানীয়দের ধারনা হাতিটিকে বিষ ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট দিয়ে হত্যা করা হয়। আর হত্যার অন্যতম কারন হিসেবে মোহাম্মদ হোসনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ও নাতী রায়হান হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করেন স্থানীয়রা ও গণমাধ্যমে তার বর্ণনা এসেছে।
★এই বছরের মার্চ- এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে, উখিয়া উপজেলার ইনানীতে ও টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম ক্ষেতে হাতির আক্রমনে মৃত্যু প্রতিশোধ নিতে ঐ গহীন বনে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে বেশ কয়েকটি হাতিকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানালেও তথ্য প্রমানের অভাবে এবং করোনা সংক্রমনের কারনে লকডাউনে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
★ ০৭/০৬/২০২০ চকরিয়া পূর্ণগ্রাম রাজঘাট এলাকায় ২০-২৫ বছর বয়সী একটি হাতি কে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট দিয়ে ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়।
★ ১৯/০৩/২০২০ চকরিয়ায় বন্যহাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে খাদ্য খেতে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকা হাতিটি ২ দিন পর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় যা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে হত্যা বলে ধারনা করেছে স্থানীয়রা।
★০৬/০১/২০২০ কক্সবাজারে মা হাতিকে গুলি করে হত্যা, শাবক হাতির মাতম। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাইস্যাঘোনা এলাকায়।
★ ০৬/১১/২০১৯ লামা উপজেলার ইয়াংছা সলিমুল হকের বাগানে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে একটি বন্য জাতিকে হত্যা করা হয়। #এই_সলিমুল_হকের_বাগানে ২০০৪ সালেও বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে ১টি হাতি হত্যা হত্যা করা হয়েছিল।
★১৯/১১/২০১৯ লামা উপজেলার চাককাটারিতে ৩ বছর বয়সি বাচ্চা হাতিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়।
★ ৩০/১১/২০১৯ লামা উপজেলার ইসাকাটাকার ঝিরিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ৪৫-৫০ বছর বয়সী একটি হাতি কে হত্যা করা হয়।
★২০১৪ সালেও রহমত উল্লাহর রাবার বাগানে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে একটি হাতি হত্যা করা হয়েছে।
★২০১৫ সালেও লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের হাইমারা ঝিরিতে ১টি হাতি হত্যাকরা হয়েছিল।
★ ০৪/১২/ ২০১৪ উখিয়া উপজেলার ফালংখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের একটি দাঁতাল হাতিকে ঘুনধুমের আয়ুব আলীর নেতৃত্বে হত্যা করে, দাঁত উপড়ে নিয়ে ১০০ ফুট উচু পাহাড়ের উপর থেকে হাতিটিকে নীচে ফেলে দেয় ও পরে পাহাড়ের খাদে গর্ত করে পুতে ফেলে।
★ ২৩/০১/ ২০১৮ চকরিয়া ঘোনারপাড়া এলাকার লোকালয়ে ডুকে পড়ায় ৩৫ বছর বয়সী হাতিটিকে বনবিট কার্যালয়ের ২০০ গজ দূরে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
★ ১০/০৩/ ২০১৬ চকরিয়া খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্নগ্রাম এলাকায় একটি বন্যহাতিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।
#২০১৬ সালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে আরো একটি হাতি হত্যা করে।

তবে পরিকল্পিত এই হত্যাকান্ড করেই খুনিরা বসে নেই বরং এই অঞ্চলে যাতে কয়েক বছরের মধ্যে হাতি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় তার নীল নকসাও তারা পরিকল্পিত ভাবে করেছে। যাদের ছদ্মবেশে বুদ্ধি পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে প্রকৃতি সুরক্ষা ও সংরক্ষনে নামে কাজ করা কিছু মানুষ নামের জানোয়ার।

উখিয়া টেকনাফের হাতিদের অন্যতম অভয়ারণ্য ছিল মধুরছড়া, বালুখালী, ফালাংখালী, শফিউল্লাহকাটা, জামতলা, বাঘঘোনা, কারাংখালী, উনসিপ্রাং যার সম্পূর্ণ এখন রোহিঙ্গাদের দখলে।
#প্রথমত রোহিঙ্গা আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বন্যহাতির আক্রমনে আর তাই তাদের প্রথম টার্গেট দক্ষিণ টেকনাফ বনাঞ্চল হাতি যেন টেকনাফ থেকে ককসবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত পাহাড়ি অঞ্চল হয়ে হিমছড়ি বনাঞ্চলের দিকে আসতে না পারে। আর তাই হাতির চলাচলের মূল পথ বন্ধ করতে হোয়াইক্যং জাতীয় উদ্যানের অভ্যান্তরে প্রায় ১৫০০ একর সংরক্ষিত বনকে ঘিরে পুটিবিনিয়া ও চাকমার কুল নামে কয়েক লক্ষ্য রোহিঙ্গা নিয়ে বিশাল দুটি রোহিঙ্গা বসতি গড়ে তুলে। তাতে এই অঞ্চলের ৬৮ টি হাতির প্রায় ৪০ টি দক্ষিন টেকনাফ অঞ্চলে ও অবশিষ্ট হাতগুলো হিমছড়ি বনাঞ্চলের আশেপাশে থাকাতে দু ভাগ হয়ে যায়। এতে পরিকল্পিত ফাঁদে আটকা পড়ে টেকনাফ উপকূলে থাকা ৪০ টি হাতি। যারা পারছেনা পূর্বদিকে যেতে নাফ নদীর কারনে আর পশ্চিমে যেতে পারছেনা বঙ্গোপসাগরে কারনে আর উত্তর ও দক্ষিন পাশকে ঘিরে ৩২ টি রোহিঙ্গা শিবিরের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের গণবসতি। তারা পরিকল্পিত ভাবে কিছু বুদ্ধিমান প্রাণীর চাহিদা ও গতিবিধি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের পরামর্শে হাতির ১২ টি করিডর ও ২২ টি প্রাকৃতিক জলাধার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে বসতি গড়ে তুলেছে। প্রাকৃতিক খাল, ছড়া ও ঝিরি গুলোও বাধ দিয়ে মাটি কেটে ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মান করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে যাতে হাতিরা কখনো কোন দিন এ পথে না আসে ! তারা হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ৯৪ টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের পাশাপাশি প্রতিটি পয়েন্টে দেশীয় এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রধারীদের নিয়োগ করেছে সন্তর্পণে।

তাদের এখন প্রতিটি মুহূর্তে একটাই ভয় যে কোন মুহূর্তে হাতির সমগ্র পাল একসাথে আক্রমন করতে পারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, ঘটতে পারে ইতিহাসের ভয়ংকর এক অধ্যায় কারন তারা জানে তারা কি করেছে। আর হাতিরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় উত্তেজিত হয়ে যে হামলা চালাতে পারে তা শতভাগ নিশ্চিত। যদিও বর্ষায় তারা ঐ অঞ্চলে বন্ধী অবস্থায় মরতে মরতে ঠিকে থাকলেও গরম বাড়লে, পাহাড়ে খাদ্য ও পানির সংকট সৃষ্টি হলেই তারা আক্রমন করবে তা নিশ্চিত ।

কিন্তু মূর্খ মানুষ গুলো জানেনা হাতির ডি এন এর সাথেই শত শত বছর ধরে হাতির চলার পথের মানচিত্র সংযুক্ত, তারা সে পথ ছেড়ে তো যাবেই না বরং তাদের যদি একটি হাতিও বেঁচে থাকে সে তার পূর্বপুরুষদের শত শত বছর ধরে চলা পথ ধরেই হাঁটবে যত বাঁধা আসে উপড়ে ফেলে। আর এখানেই হাতির সাথে মানুষের যুদ্ধ, আদিম মানুষ গুলো জানলেও এই যুগের মানুষ মানতে বাধ্য নয় তাই তারা মানুষের চলার পথ বন্ধ করার মত হাতির চলার পথ বন্ধ করার নাবালক চেষ্টা করছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৩১ সালে সরকার উখিয়া টেকনাফ অঞ্চলের ৩০ হাজার একর বনভূমি কে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করে। অন্যদিকে ২০১০ সালে ২৪ শে মার্চ হাতি সংরক্ষণের জন্য ২৮ হাজার ৬৮৮ একর বনভূমি নিয়ে ” টেকনাফ গেইম রিজার্ভ ” গঠন করে। যার এক তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গাদের দখলে, যা পূর্বে কাঁচা বসতি নির্মান করলেও ইদানীং দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিও গুলো পাকা ঘর নির্মান করছে বিভিন্ন কৌশলে। ফলে বন ও বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতি পরিবেশ সুরক্ষার আবেদন চিরতরে মুছে যাবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গুলো ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই অঞ্চলের বিপন্ন হাতগুলো রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ না তুললে একটি হাতিও এই অঞ্চলে বেঁচে থাকতে পারবেনা। তাই আর কোন প্রকল্প নয় বরং বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় অঞ্চলভিত্তিক ” সেচ্ছাসেবী এলিট গ্রীণ ফোর্স ” গঠন সময়ের দাবী।

সূত্র: সেভ দ্য নেচার অফ বাংলাদেশ

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button