
সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত না করার দাবিতে মানববন্ধন
সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া করছে ইউনেস্কো। তাদের দেয়া শর্ত পালন করতে না পারলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকা থেকে বাদ পড়বে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন । ২০১৯ সালের জুন মাসে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্যত্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্য কমিটি। কমিটির সুপারিশে বলা হয় সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের করা অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অগ্রগতি খুবই ধীর। এমন সুপারিশের কারণ হিসেবে সুন্দরবনের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়াকে দায়ী করা হয়।
এদিকে, সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসবে চিহ্নিত না করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দেশের সাত জেলায় একযোগে ‘মৌমাছি ও মধু’ সংগঠনগুলো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
ইউনেস্কো কতৃক ঘোষিত ‘সুন্দরবনকে’ বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলায় একই সময়ে প্রেস ক্লাব সমূহের সামনে একই সময়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনগুলো ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন , ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য সম্মান ঘোষণা করে। কিন্তু সম্প্রতি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা পরিকল্পনা করছে।
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সর্বশেষ ২০১৯-এর সভায় সুন্দরবন ঐতিহ্য রক্ষায় বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছিল। এ সকল শর্তগুলো পালনে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে কাজ করেছে বলে দাবি করা হলেও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় কমিটি। সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, পুরো বিশ্বের একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য । ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই বনটিকে টিকিয়ে রাখতে সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য । সুন্দরবন তার প্রাকৃতিক অবয়ব নিয়ে ভালো আছে, তাই একে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়োজন নেই।
বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে বনজীবীদের মনে যে রকম স্বস্তি আনতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক অনুরূপ বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার মধ্যেও স্বস্তি এসেছে।
সুন্দরবনের অর্ধেক জায়গা অভয়ারণ্য ঘোষণা সুন্দরবনকে রক্ষার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছে সরকার । সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ঐহিত্য কমিটির সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা জরুরি বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
প্রতিবেদক: নিপুণ