
পরিবেশ ধ্বংস করে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধ কর: সি,আর,বি’তে নাগরিকদের হুঁশিয়ারি
পরিবেশ ধ্বংস করে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধ কর
————————————————————-
উদ্বিগ্ন নাগরিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম এর সভায় আজ বিকেল ৪ টায় মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের হুঁশিয়ারী।
“সারাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ ধ্বংসের মুখে। উন্নয়নের নামে প্রতিনিয়ত উজার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ গাছ। উন্নয়নের আগ্রাসন রাজনৈতিকভাবে এতটা শক্তিশালী যে, জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সম্প্রতি চিকিৎসা ব্যবসার নামে সিআরবি’র গাছ ও পরিবেশ ধ্বংস করে হাসপাতাল নির্মাণ তাদের করতে হবেই। এখানে ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির এবং পরিবেশ বা জনগণের মানসিক স্বাস্হ্যের বিষয়ে কোনো পরোয়া নেই; ব্যবসা এবং লুন্ঠনই সর্বশেষ কথা। এটাই হচ্ছে ফ্যাসিবাদ। যে ফ্যাসিবাদ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে, উন্নয়নের নামে লুন্ঠন করে,পরিবেশ ধ্বংস করে এর নায্যতা তৈরী করে! আমরা দেখেছি, রেলওয়ে যেখানে ইউনাইটেড গ্রুপকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্যে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে সেখানে রয়েছে শতবর্ষী অনেক গাছ। রয়েছে রেল কর্মচারীদের প্রায় ২৫০ কোয়ার্টার। এসব কোয়ার্টার এলাকার প্রায় তিনশত গাছ কাটা পড়বে। এলাকার জনগণও এই হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করছে। সিআরবি এলাকাটি একটি সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষিত। এখানে নগরীর মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটে আসে। চট্টগ্রামের এই সবুজ জায়গাটিকে ইট-পাথরের জঙ্গলে পরিনত করার সিদ্ধান্ত নগরবাসী কখনোই মেনে নিবে না। এখানে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মিত হলে তাকে কেন্দ্র করে আরো বহু স্থাপনা, দোকানপাট, ফুড কর্ণার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গাড়ি পার্ক কর্ণার সহ জায়গাটি একটি লোকারন্যে ও হাটবাজারে পরিণত হবে। এতে সিআরবি’র নিজস্ব ইকোসিস্টেম ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আমরা চট্টগ্রামের নাগরিক হিসেবে মনে করি, অবিলম্বে এই হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে চট্টগ্রামবাসী সিআরবি রক্ষায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
উদ্বিগ্ন নাগরিক,চট্টগ্রামের সংগঠক, সাবেক কাউন্সিলার জান্নাতুল ফেরদাউস পপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ডাঃ মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট চন্দন দাশ, এডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী, এডভোকেট ভুলন ভৌমিক, রাজা মিয়া, ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, আজাদ নজরুল, শান্তনু দাশ, এ্যানি চৌধুরী প্রমুখ। সভায় সংহতি জানান, কবি আবুল মোমেন, কথা সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা আলীম, প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপিকা আনোয়ারা আলম, অপু দাশ গুপ্ত, অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, এডভোকেট শফিউদ্দিন কবির আবিদ। সভা পরিচালনা করেন এডভোকেট বিশুময় দেব।