ঘুরে এলাম সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির: মোহাম্মদ জুয়েল

 

আমার এক বন্ধুকে নিয়ে ঘুরে এলাম সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির।মন্দিরে উঠা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। এই কষ্ট সহ্য করে উপরে উঠতে পারলে সাক্ষী হতে পারবেন এক অপরুপ সর্গীয় সৌন্দর্যের।চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে একপাশে সমুদ্র দেখা যায়।আরেক পাশে দেখা যায় অপরুপ পাহাড়ি সৌন্দর্য।চন্দ্রনাথ মন্দির বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে এর অবস্থান। সীতাকুন্ড বাজার থেকে পায়ে হেঁটে অথবা সিএনজি চড়ে চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়া যায়।এ এলাকাকে হিন্দুদের বড় তীর্থস্থান বলাই ভালো।
এখানে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থসমূহ অনুসারে সতী দেবীর দক্ষিণ হস্ত পতিত হয়েছিল।এর পুরনো নাম ছিলো “সীতার কুণ্ড মন্দির”। সীতা মন্দিরের কাছে একটি ঝর্ণা আছে যা বর্তমানে শুকিয়ে গেছে।ঐতিহ্যবাহী সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ তীর্থ বিশ্বের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য একটি অতি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ পুণ্যস্থান। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে সকল তীর্থস্থান পরিভ্রমন করলেও সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মহাতীর্থ দর্শনে না এলে পুণ্যার্জন পরিপূর্ণতা লাভ করে না।
এ বিশ্বাসে দেশ-বিদেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চারযুগ অর্থাৎ সত্য, ক্রেতা, দ্বাপর ও কলির ঐতিহ্যে লালিত আদিতম তীর্থস্থান শিবালয় ও একান্ন মাতৃপীঠের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র সীতাকুন্ডে আগমন করেন। সীতাকুন্ডের উত্তরে বারৈয়াঢালার লবাণাক্ষ তীর্থ এবং দক্ষিণে বাড়বকুন্ড তীর্থ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ ব্যাপী এর ব্যাপ্তি। শিবচতুর্দশী ও দোল পূর্ণিমা তিথি লগ্নে এখানে মেলা অনুষ্টিত হয়।চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার জন্য দুটি পথ রয়েছে। ডানদিকের রাস্তাটি পুরোটাই সিঁড়ি দিয়ে আর বামদিকেরটি পুরোটাই পাহাড়ি পথ। কিছু ভাঙ্গা সিঁড়ি আছে।বামদিকেরটি দিয়ে উঠা সহজ; ডানদিকেরটি দিয়ে নামা সহজ।
চট্টগ্রাম শহর থেকে পারিবারিক ভাবে সিএনজি অটো রিক্সাতে করে ঘুরে আসা যাবে। পাবলিক বাসে যেতে চাইলে নগরির অলংকার কিংবা এ কে খান মোড় থেকে বাসে উঠতে হবে, ভাড়া বর্তমানে জনপ্রতি ৫০/৬০ টাকা।সীতাকুণ্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ ১১৫২ফুট (প্রায়) উঁচু এবং চট্টগ্রাম জেলার সর্বোচ্চ স্থান।

লেখক: মোহাম্মদ জুয়েল সদস্য বিজ্ঞানচেতনা পাঠাগার রাউজান চট্টগ্রাম

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button