আইন অমান্য করে যন্ত্র বসিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বালু উত্তোলন

ঠাকুরগাঁওয়ের শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত টাঙ্গন নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর দুই পাশ ভরাট করতে পাড়ের কাছেই শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র বসিয়ে গভীর গর্ত খনন করে বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদের তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও আশপাশের স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধভাবে এই বালু তুলে ঠিকাদারি কাজে ব্যবহার করছেন সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন।

টাঙ্গন নদীর উপর সেতু নির্মাণ এবং এই কাজের মাটি ভরাটের ঠিকাদার ইউসুফ ব্রাদার্স হলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করছেন পার্থ সারথি সেন ‘বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা–বাগান ছাড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এর (খ) উপধারায় বলা আছে, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বর্পূণ সরকারি–বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে র্সবনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইনে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ–সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে বা এই আইন বা অন্য কোনো বিধান লঙ্ঘন করে অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তি বা তাঁদের সহায়তাকারী কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা র্পযন্ত অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বলা রয়েছে’২০১০ সালের বালুমহাল আইনের ৪ নম্বর ধারায় । টাঙ্গন নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নদের তীর সংরক্ষণ বাঁধের ১০ মিটারের মধ্যে খননযন্ত্র বসিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে। পাইপের মাধ্যমে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সেই বালু ফেলা হচ্ছে।
ঠিকাদার পার্থ সারথি সেন মুঠোফোনে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অনুমতি নিয়ে নদ থেকে বালু তোলা হচ্ছে।

তবে পাউবো ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলছেন, নদ থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার তাঁদের নেই। জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, টাঙ্গন নদে যন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলনে কোনো ব্যক্তিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সূত্র: প্রথম আলো

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button