শস্যরক্ষায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললো ৩৩ বাবুই ছানা
কাজীপুর উপজেলার একসময়ের ভিক্ষার হাত এখন কর্মের হাতে পরিনত
যমুনার একটি সেতু চরে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে, যা মৃত্যুর দূত
এইডসের নতুন টিকা হিউম্যান ট্রায়ালে ৯৭% সফল
হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এসেছে বিশাল আকৃতির মৃত তিমি
তাজা খবর
- ticket title
- মহানন্দা নদী হারিয়ে যাবে বাংলার বুক থেকে
- শস্যরক্ষায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললো ৩৩ বাবুই ছানা
- কাজীপুর উপজেলার একসময়ের ভিক্ষার হাত এখন কর্মের হাতে পরিনত
- পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা,বিষাক্ত গ্যাসে ৫০০ একর জমির ফসলের ক্ষতি
- যমুনার একটি সেতু চরে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে, যা মৃত্যুর দূত
- ক্যারিবিয়ানের দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট ভিনসেন্টে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
- এইডসের নতুন টিকা হিউম্যান ট্রায়ালে ৯৭% সফল
- হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এসেছে বিশাল আকৃতির মৃত তিমি
- বাংলাদেশের আকাশে মিথেন গ্যাসের ধোঁয়ার আভাস
আমার দেখা নিঝুম দ্বীপ
মার্চ 2, 2021 / By Benu Borna
Post by relatedRelated post
-
এপ্রিল 11, 2021
মহানন্দা নদী হারিয়ে যাবে বাংলার বুক থেকে
-
এপ্রিল 11, 2021
শস্যরক্ষায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললো ৩৩ বাবুই ছানা
আসলে নিজে না দেখলে কোন দেখাই পরিপূর্ণ হয় না। মানুষের লেখা পড়ে যে জায়গা খুবই সুন্দর ও আকর্ষনীয় মনে হয় বাস্তবে না গেলে সেটা বোঝা যায় না। তবে আমাদের নদীপথে যাত্রা বা মেঘনা নদীর বিশালত্ব দেখার জন্যই বার বার লঞ্চভ্রমন করা যায়।

অফিস ছুটি পাওয়া যখন মুস্কিল তখন ইদের ছুটিগুলোই আসলে ভরসা। কিন্তু একটাই ঝামেলা সে সময় যাতায়াত ব্যবস্থা অচল ও উচ্চমূল্য হয়ে যায়। তবুও ভাবলাম শর্ট একটা ট্যুর করলে খরচ খুব একটা হবে না। কিন্তু সঙ্গী সাথী পাওয়াও যায় না। ধর্মীয় উৎসবে এই দেশে বেড়ানোর চল এখনো হয়ে ওঠেনি, এই দেশের সামাজিক কারণেই এটা প্রায় অসম্ভব। একজন নন মুসলিম ভ্রমনসঙ্গী পেলাম তাকে নিয়েই প্ল্যান করলাম দুইবার বাতিল হওয়া জায়গা নিঝুম দ্বীপেই যাব। যদিও আগের রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ছিল শেরপুরে যাব এক আপুর ৩ টা টিকেট বেশি হয়েছে সেগুলো নিয়ে। রাতে আপু ফোন করে জানালেন বাসের টিকেট কেন যেন ক্যান্সেল হয়ে গেছে। খুবই মন খারাপ হলো, কোথাও যাব এটাই সত্য। সঙ্গীদের জানালাম বিষয়টা , একজন বললো হঠাত করে সিদ্ধান্ত বদল করলে আমার সমস্যা, কারণ তাকে আসতে হবে টাঙ্গাইল থেকে। তাই অগত্যা আর একজনকে নিয়েই রওনা হলাম। আরো কয়েকজনকে বলেছিলাম কেউই এ সময় যাওয়ার আগ্রহী হলো না।
এমভি ফারহান, তাসরিফ , টিপু এই রুটে চলেজ, সেদিন শুধু এম ভি তাসরিফ- পেলাম। লঞ্চ ছাড়ার কথা ৫:৩০, সেই লঞ্চ ছাড়লো রাত ৮:৩০। তবে যথাসময়েই হাতিয়া পৌঁছেছে। সেখানে পৌঁছে আগে নাস্তা করলাম , তারপর তমুরদ্দী ঘাট থেকে বেবি টেক্সিতে (৫০০-৬০০ টাকা) সরাসরি মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় কিন্তু ইদ ছিল বলে সেদিন বেবীট্যাক্সি বন্ধ ছিল তাই সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট গিয়েছি। ভাড়া দুই জন .৭০০ টাকা নিল ইদ উপলক্ষে। সেখান থেকে ট্রলারে ১০ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে ভাড়া জনপ্রতি – ১০০ টাকা, এটাও ইদের কারণে। এরপর নামার বাজার থেকে মোটর সাইকেল এ ১৫০ টাকা মটরসাইকেলে নামার বাজার নিঝুম রিসোর্টে গেলাম। সেখানকার কেয়ারটেকার মিলন খুবই মাইডিয়ার। তবে রিসোর্টে পানি ও লাইটের বন্দোবস্ত থাকলেও ফ্যান ছিলনা, এই গরমে কিছুটা কষ্টকর। দুপুরে ফ্রেশ ইলিশ দিয়ে ভাত খেলাম যা খুবই স্বাদের। রাতে মিলন তার বাসা থেকে
কোরবানির মহিষের মাংশ খাওয়ালো, সাথে হাতে বানানো আটারুটি।

বিকেলে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনে ঘুরে নিঝুম দ্বীপের বিচে গেলাম। নানান বয়সী ছেলেরা ফুটবল খেলছে। সন্ধায় হেঁটে কিছুক্ষণ নিঝুমদ্বীপের জীবনযাত্রা দেখলাম। সেখানকার মেয়েরা সন্ধ্যায় বেড়াতে বেড়োয়, শুধু চোখ দেখা যায়। রাতে রিসোর্টের জানালা দিয়ে মা ও শিশু হরিণ দেখে আপ্লুত হয়েছিলাম, পরে জানতে পারলাম এগুলো বনবিভাগের পালিত হরিণ।
প্রতিদিন সকাল .৯টায় নামার বাজার থেকে ফিশিং ট্রলার সরাসরি তমরুদ্দীনে যায় তাই এডভেঞ্চারের জন্যই মেঘনা নদীর বুক চিরে ট্রলার এ আমরা হাতিয়া ঘাটে ফিরলাম। পথিমধ্যে নদীবক্ষে ঝুম বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় ছাদে বসেই ছিলাম। একদম ভিজে ঘাটে এসে নামলাম। ভাড়া নিল ২০০ টাকা করে একেকজনের। এছাড়া আপনি ট্রলার রিজার্ভ করতে পারেন নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার ভাড়া ট্রলার সাইজ অনুযায়ী ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
জেনে নেই নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কে কিছুটা , সূত্র উইকিপিডিয়া হতেঃ নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ । এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা এর অর্ন্তগত। মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চুর মুরি- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে । নিঝুম দ্বীপের আয়তন ৯১ বর্গ কিলোমিটার। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম বাউলার চর বা বালুয়ার চর। পরে হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন।
১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০ ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা কমেছে অনেকখানি । নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন। নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই বললেই চলে। হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২,০০০ এর কম হবে না। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এ ছাড়াও শীত মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপে বিশাল এলাকা পলিমাটির চর। জোয়ারের পানিতে ডুবে এবং ভাটা পড়লে শুকায়। এসব স্থানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বসবাস। জোয়ারের পানিতে বয়ে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এদের একমাত্র খাবার। এ ছাড়াও রয়েছে প্রায় ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম এবং ২১ প্রজাতির অন্যান্য গাছ।
নিঝুম দ্বীপের দমার চরে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে উঠেছে এ অনিন্দ্যসুন্দর সৈকত। ইংরেজিতে যাকে বলে ভার্জিন সি বিচ। দ্বীপ সংলগ্ন দমার চরের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত সৈকতটি। সমুদ্রের বালু জমে তৈরি সৈকতটি একেবারেই নতুন। এ দ্বীপের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কেফায়েত উল্লাহর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সৈকতের আয়তন প্রায় ৯ কিলোমিটার। তবে সরকারিভাবে সঠিক আয়তন ঘোষণা করা হয়নি।
Advisory Editor
Kazi Sanowar Ahmed Lavlu
Editor
Nurul Afsar Mazumder Swapan
Sub-Editor
Barnadet Adhikary
Dhaka office 38 / D / 3, 1st Floor, dillu Road, Magbazar.
Chittagong Office Flat: 4 D , 5th Floor, Tower Karnafuly, kazir deori. Phone: 01713311758
ছবি ঘর
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com