
সম্পাদকীয়
৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গ্রিন নিউজের পাঠক বা শুভানুধ্যায়ীদের করোনা ক্রান্তিকালের শুভেচ্ছা।
অভিবাদন হে পৃথিবী –
অভিনন্দন প্রকৃতিকে দশভুজায় আবির্ভূত হওয়ার জন্য।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই আমাদের পরিবেশ প্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়েই এই পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিষয়ক নিউজ পোর্টাল এর যাত্রা শুরু হয়।
সেই যাত্রার সহযাত্রীদের নাম উচ্চারিত না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
এর আগে বলে রাখি পরিবেশ প্রীতি গড়ে উঠেছিল আমাদের পাহাড় ভ্রমনের মাধ্যমে – সেখানে আমাদের গাইড ছিলেন ডঃ আনিসুজ্জামান ( প্রানী বিজ্ঞানী) হোসেন সোহেল ( সিনিয়র রিপোর্টার ৭১ টিভি, সার্ভাইভার ও বন্য প্রানী ও প্রকৃতি বিষয়ক সাংবাদিক,) এডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু, মাঈনুদ্দিন দুলাল ( ব্যুরো চীফ ৭১ টিভি, চট্রগ্রাম।)সাংবাদিক ফারুক ইকবাল – কবি এজাজ ইউসুফী, রাউজান পৌরসভা মেয়র দেবাশিষ পালিত, এলোহা চট্রগ্রাম প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, ভাস্কর্য শিল্পী শ্রীকান্ত, সাংবাদিক ও আবৃত্তি শিল্পী ফারুক তাহের ,
প্রাক্তন ছাত্র নেতা নাজিম, নন্দীর হাটের চেয়ারম্যান বাচ্চু ভাই,
বাবু, শুভো, সবুর, সম্রাট আরো অনেক।
গ্রিন শব্দটি শুধু সবুজ অর্থে নয় । এর অর্থ অনেক ব্যাপক ।
GREEN ( ground for earth।y environment of nature) এই নামটি দিয়েছে শিক্ষক ও সাংবাদিক মাসুম আহমেদ , ।ogo করেছে শিল্পী দেবাশিষ রায় । তাদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ ।
আমাদের ভ্রমনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল,
প্রকৃতিতে গেলে আচরন বিধি মেনে চলা।
প্রকৃতিতে শব্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিগনাল।
প্রতিটি প্রানী এই শব্দ অভিজ্ঞতায় চলে।
আর মানুষ যদি বনে গিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে তাহলে প্রকৃতির নিজস্ব সুরের ছন্দপতন হয়।
তাই এই সুর বুঝেই পাহাড়ে চলতে হয়।
পাহাড়িরা কেন কম কথা বলে। প্রকৃতির অংশ হলে মনে হয় এমন আচরণ হয়।
পরবর্তীতে উপদেষ্টা হিসাবে দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরী, শিল্পপতি বেলায়েত হোসেন, অনেকেই এই পোর্টাল গড়তে সহায়তা করেছেন।
শুরু থেকেই সবুজ সৈনিক হিসাবে কাজ করেছেন এবং আজ অব্দি কাজ করে যাচ্ছেন গ্রিন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মিজান চৌধুরী বাবু , ইফতেখার মামুন ,মোরশেদুল আলম ,লিপটন দেবনাথ ।
মানুষের জীবনে পরিবেশ জ্ঞান একটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু নগর ও শহর জীবনের মুগ্ধতায় আমরা ক্রমশ প্রাকৃতিক জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।
যার ফলশ্রুতিতে আমরা ভোগ করছি মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
সারা বিশ্বব্যাপী এক বিশাল খেসারত গুনছে সর্বস্তরের মানুষ।
মানুষকে অবরুদ্ধ করে প্রকৃতি তার নিজের নিয়মে নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে।
মানুষের যেই মেটালিক অহংকার তা চূর্ণবিচূর্ণ করে
পরিণত করেছে এক অসহায় প্রানী হিসাবে।
কতটুকু আবিষ্কার মানুষের দরকার তাও আজ আমাদের ভাবতে হবে।
এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগানটি হচ্ছে পরাজিত মানুষের আত্মশ্লাঘা ” জীববৈচিত্র্য উদযাপন”
যেই উদযাপনে আমাদের কোনো ভুমিকাই নেই।
তাই আমরা যারা প্রকৃতি প্রেমী তাদের আহবান থাকবে প্রকৃতি আমাকে শত্রু ভাবে না।
আসুন প্রকৃতিকে মা করে তার সন্তান হই। আমরা মাকে যেমন ভালবাসি তেমনি প্রকৃতিকেও ভালবাসি।
তাহলে বন্যপ্রানীদের সাথে আমাদের সদাচরণ করতে হবে।
তাহলে কেরালার সেই মা হাতিটির এই করুন মৃত্যু আর হবে না।