রেখা নামের সেই ভয়ঙ্কর গৃহকর্মী গ্রপ্তার
চমৎকার সমাধিক্ষেত্র
টম্যাটো সংরক্ষণে নতুন উপায়
অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা জরুরি
প্রকৃতি ধ্বংস করলে হাতি নেমে আসবে জনপদে
সবুজ প্রসারের প্রত্যয়ে -গ্রীন বাংলাদেশ
কুরমা-চাম্পারাই চা বাগানে অভিযান
- ticket title
- চন্ডুওয়ালার ইতিবৃত্ত
- রেখা নামের সেই ভয়ঙ্কর গৃহকর্মী গ্রপ্তার
- চমৎকার সমাধিক্ষেত্র
- টম্যাটো সংরক্ষণে নতুন উপায়
- অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা জরুরি
- প্রকৃতি ধ্বংস করলে হাতি নেমে আসবে জনপদে
- সবুজ প্রসারের প্রত্যয়ে -গ্রীন বাংলাদেশ
- কুরমা-চাম্পারাই চা বাগানে অভিযান
- রাজঘাট লেক, ফিনলে টি স্টেটের পাখি নিধন উৎসব
উপকূলীয় জলবায়ু ঝুঁকির অন্যতম একটা আশাংকাজনক বিষয় হচ্চে, স্বাদুপানির জল এবং স্বাদুপানি বেষ্টিত স্থলভাগে লনণ (স্যালাইন) পানির আগ্রাসন। তাই উপকূলীয় স্বাদু পানি অঞ্চলে ধান সবজি ফল ও ফসলাদি, গৃহপালিত পশু ও তাদের খাবার এবং প্রাণীর খাদ্য চক্র, বৈশিষ্ট এবং বৈচিত্র ইত্যাদি রক্ষায় উপকূলীয় বাঁধ অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্থলভাগে স্যালাইন পানির আগ্রাসন অন্তত চার ভাবে হচ্ছে- ১। […]
উপকূলীয় জলবায়ু ঝুঁকির অন্যতম একটা আশাংকাজনক বিষয় হচ্চে, স্বাদুপানির জল এবং স্বাদুপানি বেষ্টিত স্থলভাগে লনণ (স্যালাইন) পানির আগ্রাসন। তাই উপকূলীয় স্বাদু পানি অঞ্চলে ধান সবজি ফল ও ফসলাদি, গৃহপালিত পশু ও তাদের খাবার এবং প্রাণীর খাদ্য চক্র, বৈশিষ্ট এবং বৈচিত্র ইত্যাদি রক্ষায় উপকূলীয় বাঁধ অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্থলভাগে স্যালাইন পানির আগ্রাসন অন্তত চার ভাবে হচ্ছে- ১। […]
বাঁধ নিয়ে রাষ্ট্রহীন নাগরিকের মরণপণ লড়াই!
মে 21, 2020 / By Green News
Post by relatedRelated post
-
জানুয়ারী 25, 2021
রেখা নামের সেই ভয়ঙ্কর গৃহকর্মী গ্রপ্তার
-
জানুয়ারী 25, 2021
চমৎকার সমাধিক্ষেত্র
-
জানুয়ারী 24, 2021
অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা জরুরি
-
জানুয়ারী 23, 2021
সবুজ প্রসারের প্রত্যয়ে -গ্রীন বাংলাদেশ
উপকূলীয় জলবায়ু ঝুঁকির অন্যতম একটা আশাংকাজনক বিষয় হচ্চে, স্বাদুপানির জল এবং স্বাদুপানি বেষ্টিত স্থলভাগে লনণ (স্যালাইন) পানির আগ্রাসন। তাই উপকূলীয় স্বাদু পানি অঞ্চলে ধান সবজি ফল ও ফসলাদি, গৃহপালিত পশু ও তাদের খাবার এবং প্রাণীর খাদ্য চক্র, বৈশিষ্ট এবং বৈচিত্র ইত্যাদি রক্ষায় উপকূলীয় বাঁধ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
স্থলভাগে স্যালাইন পানির আগ্রাসন অন্তত চার ভাবে হচ্ছে-
১। ভারত আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রত্যাহার করছে,
২। ভারত আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ সংকুচিত (পদ্মা) অথবা একেবারে বন্ধ (তিস্তা)করে দিয়েছে।
৩। বাং লাদেশের গ্রীষ্মকালীন সেচ প্রকল্প
৪। উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস।
পানি প্রত্যাহার, নদ-নদীতে পানির চাপ কমে আসা এমনকি পানি হীনতার কারণে স্বাদু পানির চাপ ক্রমাগত কমছে বলে উপকূলের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে লবণ পানির আগ্রাসন ক্রমাগত হারে বাড়ছে। অথচ আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রত্যাহার রোধে এবং আন্তর্জাতিক নদীতে ফার্কার মরণ ফাঁদ থেকে পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কার্যকর কূটনীতি আওয়ামীলীগ সরকার করছে না। প্রায় ১৩ বছর যৌথ নদীকমিশনের বৈঠক নেই, সর্বশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের ‘ভারতীয় পাচাটা গোলাম’ সরকার কোন এজেন্ডাই উঠায়নি। তৃতীয় ইস্যুতে বাংলাদেশকে ফসল ফলাতে সেচ করতেই হবে, বরং যা পানি দরকার সেচে তার এক দশমাংশও দিচ্ছে না ভারত, ফলে সেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে ভূগর্ভস্ত পানির নির্ভরতা বাড়ছে দিন দিন। স্যালাইন পানি রোধের চতুর্থ উপায় উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস থেকে আসা লবণ পানি ঠেকানো। এখানে শত শত প্রকল্প আছে তবে বেপারোয়া চুরির কারণে কিছুই হচ্ছে না ঠিক মত।
গ্রামের একটা কাঁচা রাস্তায়ও উপকূলীয় বাঁধ গুলোর চেয়ে বেসি মাটি ফেলা হয়! আরসিসি কনক্রিট এবং স্লুইস গেইট যুক্ত বাঁধ করার টাকা নিয়ে নেতারা শুধু কিছু মাটি ফেলে চলে যায়। তাও এই মাটি ফেলার একটা অপকৌশল হচ্ছে, কালবৈশাখীর মৌসুম বা ঝড় বৃষ্টির মৌসুম আসার আগে ৩০-৪০% মাটি ফেলা হয়, বাকিটা বন্যায় তলিয়ে গেছে দেখিয়ে বিল আদায় করে নেয়া হয়। চাল থেকে শুরু করে ব্যাংক চোরা জাত এভাবে বাংলার উপকূলীয় মানুষ, লাইভস্টক এবং উপকূলীয় ইকোসাইকেলের জীবন সহায় সম্পদ রক্ষার উপকূলীয় বাঁধ চুরি করে। আজ ২০২০ সালে আমরা দেখেছি মাটির বাঁধ বাঁচাতে গ্রামবাসী সাগরের পানিতে নিমে মাবব ঢাল তৈরি করেছে। এমন নির্দয় দৃশ্য আমাদের দেখতে হয়। এইযুগে রাষ্ট্রহীন নাগরিকের সংগ্রাম এমন হয়, ভাবা যায়! এই দৃশ্য হাওড়ে ও উপকূলে ফি বছরই দেখা যায়। অন্তত নিজেদের মনকে বুঝ দিতে হলেও যেন, ভাঙার উপক্রম হওয়া বাঁধে মাটি ফেলা, বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তলিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যান গ্রামবাসী। বাঁধ নামক রাষ্ট্রীয় প্রকল্প উপকূলীয়, হাওড় ও নদী তীরবর্তী মানুষের গলার ফাঁস, যার কারণে তাঁদের নিজের সুরক্ষা খোঁজা হয় না সময় মত। বরং তাঁরা বালির বাঁধের তাসের ঘরে বার বার ভরসা রাখে এবং জীবন-জীবিকা সহায়-সম্বল, হাঁস মুরগু-গরু বাছুর খোয়ায়। এরা যেন রাষ্ট্রহীন নাগরিক।
প্রতিটি লোড ক্যাল্কুলেশান হীন, পানির চাপের হিসাব নিকাশ ও নকশা হীন বাঁধ বন্যা ও জলোচ্ছাস ট্র্যাপ হয়ে উঠে। একদিকে মানুষ মনে করে বাঁধ আছে, তাই সম্পদ সময়মত সরায় না। বন্যার অব্যবহতি পরেই শুরু হয় জলাবদ্ধতা, কারণ এই বাঁধে স্লুইস গেইট, পাম্প স্টেশান বা অন্যভাবে পানি সরানোর মেকানিজন নেই।
যেন তেন বাঁধ বর্ষার বাড়ান্ত ফসল বাঁচায় কিছুটা কিন্তু বন্যা পরবর্তিতে এই একই ফসলের হারভেস্টকে বিঘ্নিত করে কারণ স্লুইস গেইট হীন বাঁধ। প্রবাহ অনিয়ন্ত্রিত মাটির বাঁধ জলাবদ্ধতার কারণ, যাতে হারভেস্টে ফসল কাটতে কৃষকের বেশি শ্রম ঘন্টা ব্যায়িত হয় ও উৎপাদন খরচ বেড়ে উঠে।
অন্যদিকে পানির সরানোর সঠিক ও হিসেবী বন্দোবস্ত না থাকায় পরবর্তি ফসলের বীজতলা তৈরি এমনকি মূল ফসলের জমি তৈরি বিলম্বিত হয়।
মাটির বাঁধ ফসলের (পড়ুন ধান, পাট) বাড়ন্ত মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণ করলেও বাঁধ যে আর্থিক সাশ্রয় করে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ফসল হারভেস্টে ও পরবর্তি ফলনপ্রস্তুতিতে তার চেয়েও বেশি আর্থিক ক্ষতি বয়ে আনে । এই অংক সবার সবার জানা চাই!
তাহলে কি ফসল ও শহর রক্ষায় বাঁধের দরকার নেই? অবশ্যই আছে, আমরা বলছি গতানুগতিক মাটি ফেলা বাঁধ তৈরি করার পদ্ধতি বাদ দিয়ে (যা প্রতি বছর ভাঙ্গে, নতুন কন্ট্রাক্ট এর জন্য প্রভাবশালীরা যা জলাবদ্ধতা সহ বিভিন্ন অজুহাতে আবার কাটে বা ভেঙে দেয়), টেকসই বাঁধ দিতে হবে।
যাতে ধেয়ে আসা বন্যার পানির পরিমাণ ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা থাকবে, একই সাথে থাকবে বন্যার পরে জলাবদ্ধতা প্রটেকশনের ব্যবস্থা। এলাকার ফসলী জমির উচ্চতা ও সমতলতা বিশেষে বীজ তলা তৈরির ও ফলন শুরুর চাহিদাকে বাঁধ নির্মানের সাথে ইন্টিগ্রেটেড করতে হবে।
পাশাপাশি উপকুলীয় বাঁধ নির্মাণে বহু বছরে ধেয়ে আসা জলোচ্ছাস গুলোর গড় উচ্চতাকে আমলে নিয়ে কারিগরি নকশায় টেকসই বাঁধ দিতে হবে। মাটির বাঁধের মাধ্যমে চুরির অনন্ত সিস্টমকে উপড়ে ফেলতে হবে।
লেখক
ফাইজ তাইয়েব আহমেদ
টেকসই উন্নয়ন গবেষক
Advisory Editor
Kazi Sanowar Ahmed Lavlu
Editor
Nurul Afsar Mazumder Swapan
Sub-Editor
Barnadet Adhikary
Dhaka office 38 / D / 3, 1st Floor, dillu Road, Magbazar.
Chittagong Office Flat: 4 D , 5th Floor, Tower Karnafuly, kazir deori. Phone: 01713311758