কিশোরগঞ্জে লোকসানের মুখে ৫০০০ লিচু চাষি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙলবাড়িয়া গ্রামে এবার মুকুলের সময় ঝড় আর শিলাবৃষ্টি হওয়ায়  গাছ থেকে ব্যাপকভাবে ঝরে পড়ছে অপরিপক্ক লিচুর গুঁটি। কারণে ঘটছেফলন বিপর্যয়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে লিচুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে লিচুর দাম ভালোনা পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। ফলে মঙলবাড়িয়া গ্রামের প্রায় ৫০০০ লিচু চাষিলোকসানের মুখে পড়েছে। তাই মৌসুমের শুরুতেই লিচু বেচাকেনা চললেও চাষিদের মুখে নেই হাসি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই শতাধিক বছর ধরে লিচু চাষ করে আসছে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার এই গ্রামের মানুষজন। বর্তমানেওই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০০০ পরিবার সুস্বাদু লিচুর উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। পাকুন্দিয়াপৌরসদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্ব দিকে মঙলবাড়িয়া গ্রাম। পথ ধরে একটু এগুলেই চোখে পড়বে মঙলবাড়িয়া গ্রামেরলিচু বাগানগুলো। গ্রামে প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় গাছে গাছে পাকা লিচুর ঝলকানি। প্রতিকূল অবস্থা আর অপর্যাপ্তযোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যেও কঠোর পরিশ্রম করে এখানকার মানুষ তাদের উৎপাদিত লিচু বাজারজাত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাচালিয়ে যাচ্ছেন। 

বাগান মালিকদের সঙ্গে আলাপকালে লিচু চাষের সম্ভাবনা সমস্যার কথা জানা যায়, মঙলবাড়িয়া গ্রামকে ঘিরে পার্শ্ববর্তীকুমারপুর, শ্রীরামদী, পাকুন্দিয়া সদর, নিশ্চিন্তপুর উত্তরপাড়া গ্রামেও গড়ে উঠেছে ছোট ছোট লিচু বাগান। উৎপাদিত এসব লিচুদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ বিক্রির জন্য ব্যস্ত লিচু চাষিরা।

তারা জানান, প্রতি বছরই যথাসময়ে লিচু গাছে পরিচর্যা দিয়ে ভালো ফলনের উপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু বছর মুকুলেরসময় ঝড় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় লিচুর অপরিপক্ক গুটি দিনরাত টপটপ করে ঝরে পড়ছে। তাছাড়া এবার লিচু তেমন পোক্ত হয়নি। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সাইফুল হাসান আলামিন জানান, মঙলবাড়িয়া গ্রামের মাটি লিচু চাষের উপযোগী।এখানে উৎপাদিত লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু। কৃষি অধিদপ্তর থেকে লিচু উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাষিদের যাবতীয় পরামর্শ প্রযুক্তিগতসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে এবছর শিলাবৃষ্টির কারণে চাষিরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button