
বাঘায় ৪৮ ভ্যান ভেজাল গুড় জব্দ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় দুটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ভেজাল গুড়ের কারখানা চিহ্নিত করেছে র্যাব। এ সময় স্থানীয় আড়ানী পৌর বাজারে ৪৮ ভ্যান ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান এসে চারজন গুড় প্রস্তুতকারীর কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। সেই সঙ্গে জব্দকৃত গুড় আড়ানী বাজারসংলগ্ন বড়াল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী র্যাব-৫-এর এএসপি সজল আহাম্মেদ ও জামিল হোসেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলের দেড় শতাধিক মানুষ অতি লাভের আশায় নিম্নমাণের চিনি অথবা সুগার মিলের গাদের সঙ্গে নানা রকম কেমিক্যাল যেমন—চুন, হায়ডস, ফিটকারি, ডালডা, আটা, আলু এবং বেলুন পাট নামে একটি গাছের ছাল ব্যবহার করে ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আড়ানী এলাকার আশরাফুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় যারা ভেজাল গুড় তৈরি করে, তাদের সংখ্যা দেড় শতাধিক। আড়ানী হাটে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার ৫০০ মন আখের ভেজাল গুড় আমদানি করা হয়। এরপর সেই গুড় ট্রাক কিংবা ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, জয়পুরহাট, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর একটিই কারণ চিনির চেয়ে গুড়ের দাম অনেক বেশি।
রাজশাহী র্যাব-৫-এর এএসপি সজল আহাম্মেদ ও জামিল হোসেন বলেন, ‘গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত প্রথমে আমরা আড়ানী বাজারে অভিযান চালিয়ে ৪৮টি ভেজাল গুড়ের ভ্যান আটক করি। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোদ্দ বাউসা এলাকার রাজন আলী (৩৫) ও তাঁর ভাই সুজন আলী (৩০) এবং তাঁর চাচা সাত্তারের (৫৫) ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় আভিযান চালানো হয়।