
মানুষ বনাম অজগর
অ- তে অজগর – মানুষ অজগর খায় – ইন্দোনেশিয়ার বাচ্চারা মনে হয় তাই পড়ে ।
ইন্দোনেশিয়ায় মানুষ এবং অজগরের লড়াইয়ে অজগরটির পরাজয় হলে স্থানীয় লোকজন সাপটিকে খেয়ে ফেলে। আর এভাবেই দুর্ভাগ্যজনক পরিসমাপ্তি ঘটে দৈত্যাকৃতির এই অজগরের। শনিবার সুমাত্রার বাতাং গানসাল জেলায় একটি পাম বাগানের রাস্তায় সাপটির মুখোমুখি হন নিরাপত্তা কর্মী রবার্ট নাবাবান।
৮ মিটার(প্রায় ২৬ ফুট) লম্বা সাপটিকে নাবাবান ধরার চেষ্টা করলে সাপটি তাকে আক্রমণ করে। মানুষ আর অজগরের এই লড়াই চলতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীরা অজগরটি মেরে ফেলে। এই লড়াইয়ে মারাত্মক জখম হন নাবাবান। নাবানান কেন অজগরটিকে ধরার চেষ্টা করছিলেন সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
কোন কোন প্রতিবেদন বলছে যে তিনি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এমনটা করতে গিয়েছিলেন। আবার অন্য প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিনি রাস্তা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নাবাবানের বাম হাতে সাপটি গভীর করে ধারাল দাঁত বসিয়ে দেয় এবং অল্পের জন্য হাতটা রক্ষা পায়। নাবাবান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মৃত অজগরটি কিন্তু ছেড়ে দেয়নি গ্রামবাসীরা। প্রদর্শনের জন্য গ্রামের রাস্তায় সেটাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়, আর তারপর সাপটাকে কেটে টুকরো টুকরো করে, ভেজে খেয়ে ফেলে তারা। সাপটি রেটিকুলেটেড পাইথন যা ২৩ ফুট লম্বা হয়। বিশ্বের দীর্ঘতম সরীসৃপ হিসেবে পরিচিত এই ধরণের অজগর পূর্ণবয়স্ক শুকর এবং কখনো কখনো মানুষ গলাধঃকরণ করতে সক্ষম। গত ২৭ মার্চ সুলাওয়েসিতে একটি ২৩ ফুট লম্বা অজগরের পেট থেকে আকবর সালুবিরো নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সুত্র;বিবিসি