
চন্দ্রিমা আবাসন প্রকল্প ও নবীনগর প্রকল্পের মাঝের প্রধান সড়কটির বেহাল অবস্থা
রাজধানীর ঢাকা উদ্যান এলাকার চন্দ্রিমা আবাসন প্রকল্প ও নবীনগর প্রকল্পের মাঝখানের প্রধান সড়কটির অবস্থা জরাজীর্ণ। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অবহেলিত রাস্তাটিতে বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন জমে থাকে পচা পানি। কাদায় একাকার হয়ে যায় আশপাশ। শুধু তা-ই নয়, প্রচণ্ড রোদের দিনেও দেখা মিলবে কাদাপানির গড়াগড়ি। এ ছাড়া ভাঙা ইটের সুরকি রাস্তাজুড়েই ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে যান চলাচলে সমস্যা হয়। প্রতিদিনই ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের কোনো না কোনো যান দুর্ঘটনার শিকার হয়। অথচ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।
এই রাস্তার জীর্ণদশায় চন্দ্রিমা আবাসন প্রকল্প ও নবীনগর প্রকল্পে বসবাসকারী অন্তত তিন থেকে চার লাখ মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গোটা রাস্তায় শত শত খানাখন্দ। কোথাও বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। কর্দমাক্ত পানিতে ডানে-বাঁয়ে কাত হয়ে চলছে রিকশা-গাড়ি। এলাকাবাসী বেহাল রাস্তাটি মেরামতের দাবি করলেও তাতে কর্তৃপক্ষের কোনো কর্ণপাত নেই। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত থাকায় অনেক সময় ছোট ছোট পিকআপ-মাইক্রোবাসও আটকা পড়ে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গাড়ি বিপত্তিতে পড়ে। রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকায় রিকশা ও ছোট ছোট যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পথচারীরা ঠিকমতো রাস্তা পার হতে পারেন না, কেউ কেউ জুতা হাতে নিয়ে হাঁটা শুরু করেন। বৃষ্টি হলেই এই সড়কের গর্তে পানি জমে যায়। সহজেই পানি সরে না। এ কারণে দুর্ভোগ। কাদাপানির পরিমাণ এতই বেশি যে শুকনো মৌসুমেও তা সরে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করা আমাদের কাজ। ওই রাস্তার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি অবগত। রাস্তাটির উন্নয়নে যা যা করণীয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার। ’