
পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটায় পরিবারের চাচা, দাদা এমনকি বাবাও
দেশে শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। মেয়ে শিশু ধর্ষণের খবরগুলোর অতি অল্প একটা অংশ পত্রিকার পাতায় আসে, পারিবারিক লজ্জার ভয়ে অনেকেই চুপ মেরে যান। কিন্তু ধর্ষণের এই ঘটনাগুলো একটি শিশুর ভবিষ্যৎটা নষ্ট করে দিচ্ছে। আতঙ্ক থেকে বের হতে পারেনা অনেকেই। আর এমন পাশবিক ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম, শিক্ষক, মুয়াজ্জিন, চল্লিশ বা পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক মানুষ- পরিবারের চাচা, দাদা এমনকি বাবাও এসব অপরাধে জড়িত।
ঘটনাগুলোর উপযুক্ত বিচার হচ্ছেনা এবং দেশজুড়ে সামাজিকভাবে তাদেরকে প্রতিহত করা হচ্ছে না বিধায় অপরাধের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এটা যৌথ পরিবারে অনেক বেশি হয়। অধিকাংশই সামাজিক, পারিবারিক কারণে এগুলো লুকিয়ে ফেলে। অধিকাংশ মেয়েরাই শিশু অবস্থায় সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের শিকার হয় কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলেনা। পরিবার থেকেই শিশুদের এই ব্যাপারে সচেতন করা জরুরি।
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলায় পাঁচ বছর বয়সী নাতনিকে ধর্ষণের দায়ে নানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার এসআই মো. নাজমুল শাকিব জানান, উপজেলার এমসি বাজার এলাকার বাড়ি থেকে রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার (৩০ অগাষ্ট) এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার আবুল কাশেমের (৫০) বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার দুবাইল এলাকায়। ওই এলাকার একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি। বাড়ির পাশেই তার একটি মুদির দোকান রয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মামলা করার প্রসঙ্গে মেয়েটির মা তার স্বামীকে জানালে তিনি স্থানীয়দের কাছে মীমাংসার জন্য পরামর্শ চান। স্থানীয়রা মামলার পরিবর্তে রোববার দুপুরে মিমাংসার কথা বলে উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পরে মেয়েটির মা রাতেই ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নিজের পিতা কাশেমের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি।