কঠিন বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে সাভারের চামড়াশিল্প নগর, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা এখনো নকশা তৈরিতেই আটকে আছে

সাভারের চামড়াশিল্প নগরে ট্যানারির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা এখনো নকশা তৈরিতেই আটকে আছে। এরপর সে নকশা চূড়ান্ত হবে, বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হবে। তারপর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এদিকে কঠিন বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে নির্ধারিত স্থান। ট্যানারিতে চামড়া পরিশোধনের পর দুই ধরনের বর্জ্য উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রিত তরল বর্জ্য কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারে (সিইটিপি) পরিশোধন করে পানি নদীতে ফেলার কথা। এ তরল বর্জ্য পরিশোধন করতে গিয়েই কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয়, যাকে স্ল্যাজ বলা হয়। তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা।

এ বিষয়ে বুয়েটের পরামর্শক দলের প্রধান দেলোয়ার হোসেন বলেন, নকশা পর্যালোচনা চলছে। ঈদুল আজহার পরে বুয়েটের শিক্ষকেরা এটি নিয়ে বসে আলোচনা করবেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে এক বছর সময় লাগার কথা। তবে এটা ঠিকাদারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। সিইটিপি নির্মাণে দেড় বছরের জায়গায় তারা চার বছর লাগাচ্ছে। অবশ্য মাটি পাইলিংয়ের প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এক বছরের চেয়ে তিন-চার মাস বেশি লাগতে পারে।

চামড়াশিল্প নগরে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারে (সিইটিপি) উৎপাদিত স্ল্যাজ বা কঠিন বর্জ্য থেকে পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো যাবে বলে মনে করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ জন্য ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর স্ল্যাজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম (এসপিজিএস) নির্মাণে ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার ডলারের (প্রায় ৫৪ কোটি টাকা) কার্যাদেশ দেওয়া হয় চীনা প্রতিষ্ঠান জিংসু লিংঝি এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন কোম্পানিকে। এ শিল্পনগরে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান জিংসু লিংঝি এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন কোম্পানি। গত দুই বছরে তারা কেবল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নকশা তৈরি করেছে।

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button