
লবনের উচ্চমূল্যে ট্যানারি মালিকরা শঙ্কিত
কোরবানি সামনে রেখে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ট্যানারি মালিকরা। সাভারের হেমায়েতপুর বাজার থেকে চামড়া শিল্পনগরী পর্যন্ত রাস্তাঘাট ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। শিল্পনগরীর ভেতরের সড়কের অবস্থাও শোচনীয়। ফলে কোরবানি ঈদের সময় কাঁচা চামড়াবাহী ট্রাক পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাঙ্গা সড়কে একটি ট্রাক আটকে গেলে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হবে। এতে ট্রাকভর্তি চামড়া পচন ধরতে পারে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
শনিবার কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস এ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) নেতারা তাদের আশঙ্কার কথা জানান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএলএলএফইএর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দিলজান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, লবণের সঙ্কট মেটাতে এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগে-ভাগেই ৫ লাখ টন লবণ আমদানির অনমুতি দিয়েছে। ঋণপত্র খোলার চল্লিশ দিনের মধ্যে সেই লবণ দেশে আনার নির্দেশ রয়েছে আমদানি-রফতানিকারক অধিদফতর। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে লবণ আনার জন্য মাদারভেসেল পাওয়া গেলেও দেশে লবণ খালাসে লাইটার জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে লাইটার জাহাজের জন্য সরকারী সহযোগিতা প্রয়োজন। তারা বলছেন, জাহাজ পাওয়া না গেলে কোরবানি ঈদের আগে লবণ আনা সম্ভব নয়। অন্যদিকে কোরবানির বাকি রয়েছে আর ছয়দিন। ছয়দিন পরেই বাড়তি অতিরিক্ত ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হবে। এই বাস্তবতায় লবণের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।