
আইনের শাসন যেখানে বাস্তবায়ন হয় সেখানে আর দূর্নীতি হয় না
ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ সার্ডিনিয়াতে এক নতুন আইন চালু হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পরিস্থিতি এমনই সঙ্কটজনক হয়েছিল যে সৈকতের ঝিনুক, নুড়িপাথর, শামুক, বালি ইত্যাদি রক্ষার জন্য সার্ডিনিয়ার বুডেলি দ্বীপের বিখ্যাত গোলাপী সৈকতটি বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে এই আইনকে কঠোর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু ভূমধ্যসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সার্ডিনিয়ান আন্দোলনকারীরা বলছেন, ছোট বোতলে ভরে একটুখানি বালি নিয়ে যাওয়া খুব বড় সমস্যা বলে নাও মনে হতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর যদি লক্ষ লক্ষ ট্যুরিস্ট এই কাজ করেন, তাহলে সৈকতের কী হাল হবে? সেদেশের সমুদ্র সৈকত থেকে কেউ বালি, নুড়ি পাথর কিংবা ঝিনুক কুড়িয়ে নিয়ে গেলে তার শাস্তি হবে।
গত ১ অগাস্ট থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে। এরপর বালি এবং ঝিনুক ‘চুরি’র অপরাধে সম্প্রতি চারজন পর্যটককে এক হাজার ইউরো (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৯৬ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। সার্ডিনিয়ার রাজধানী ক্যাগলিয়ারির এলমাস বিমানবন্দরে এক্স-র মেশিনে এসব ধরা পড়ার পর ওই পর্যটকদের আটক করা হয়।
২০১৫ সালে গ্রীষ্ম মৌসুমের তিন মাসে এলমাস বিমানবন্দরে মোট পাঁচটন বালি আটক করা হয়। এই বালি সংগ্রহ করা হয়েছিল বিভিন্ন সৈকত থেকে। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, পর্যটকরা মারি এরমি সৈকত থেকে কোয়ার্টজ বালি, কালা লুনা থেকে সাদা বালি আর পিসিনাস সৈকত থেকে হলুদ বালি নিয়ে যাচ্ছেন।