
ঢাকার খুবই কাছে ছুটি রিসোর্ট, ঘুরে আসতে পারেন পরিবার নিয়ে
গাজীপুর জেলায় যেকয়টি রিসোর্ট রয়েছে ছুটি রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য একটি। ঢাকার আশে পাশের রিসোর্ট গুলির মধ্যে অন্যতম এ রিসোর্ট। এই রিসোর্টটি প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে। এটি রিসোর্ট এবং পিকনিক কর্নার দুটি অংশে বিভক্ত। রিসোর্টের গা ঘেঁষে গভীর জঙ্গল। ভেতরে দুটো বড় মাঠ, অসংখ্য গাছ, ঝোপঝাড়। এর চারপাশ ঘিরে আছে একটি বিশাল দিঘি। তাতে লাল পদ্ম ফুটে আছে। দিঘীতে ভ্রমণের জন্য আছে নৌকা।
ছুটি রিসোর্টটিতে বিভিন্ন ধরনের কটেজ রয়েছে, তবে সেগুলো কাঠের কটেজ। লেক ভিউ, ২ বিছানা, এল ই ডি টিভি, বারান্দা এবং এতাচ বাথরুম। ভাড়া – ৬০০০+
ফ্যমিলি কটেজঃ লেক ভিউ, ২টি পৃথক এসি কক্ষ, ২টি বড় আকার বিছানা, হ্রদ সংযুক্ত স্নান, LED টিভি, লিভিং রুম, বারান্দা ও কাঠের ডেক. ২ কাপল / ৪জন ++
ভাড়া – ১০০০০+
এ ছাড়াও রয়েছে প্রিমিয়াম কটেজ যার ভাড়া – ৮০০০+, সেমি প্রিমিয়াম কটেজ যার ভাড়া – ৫০০০+, এবং রয়েল কটেজ যার ভাড়া – ৯০০০+ আরো আছে ডরমিটরি যেখানে জনপ্রতি সিট ভাড়া এক হাজার টাকা।
রেষ্টুরেন্ট বৈশিষ্ট্য: ১) ছুটি বিশেষ খাদ্য /ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাদ্য ২) ভারতীয় মসলাযুক্ত খাবার ৩)বিরতি ফাস্ট (ঐতিহ্যবাহী ওরিয়েন্টাল ও কন্টিনেন্টাল) ৪) তাজা রস ৫)মিনারেল ওয়াটার, আইস ক্রিম, নরম পানীয় ৬) বি বি কিউ ৭) ঐতিহ্যবাহী পিঠা
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার গুলিস্তান, মহাখালী থেকে বিআরটিসি কিংবা অন্য যেকোনো বাসে গাজীপুর শহর। সেখান থেকে রিকশায় তিন কিলোমিটার আমতলী বাজার। আমতলী বাজারের পাশেই ছুটি রিসোর্ট ও পিকনিক কর্নার।
থাকা ও খাওয়াঃ খাওয়াসহ সারা দিনের জন্য জনপ্রতি ১২০০ টাকা। সঙ্গে বিনা মূল্যে রয়েছে বোটিং, ফিশিং ও সাইট সিয়িং। বাচ্চাদের জন্য প্লে জোন। রাতে থাকার জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। প্রতিটি কটেজে দুটি বেডরুম, ডাইনিং-ড্রয়িং। কটেজ ভাড়া ছয় হাজার টাকা প্রতি রাত। ডরমিটরি আছে। জনপ্রতি সিট ভাড়া এক হাজার টাকা।