আবর্জনায় ঠাসা দ্বীপ হেন্ডারসন আইল্যান্ড

প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টুকরো আবর্জনা ঠাসা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপ হেন্ডারসন আইল্যান্ড, অথচ ইউনেসকো ১৯৮৮ সালে দ্বীপটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা বলে ঘোষণা করেছিল। দ্বীপটির সৈকতে রয়েছে হরেক রকমের আবর্জনা, এসবের মধ্যে আছে প্লাস্টিকের বোতল, মাছ ধরার প্লাস্টিকের জাল, হেলমেট প্রভৃতি।

গবেষকেরা বলছেন, শুধু সমুদ্রের পানিতেই এসব আবর্জনা ভেসে এসেছে। এর কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন দ্বীপ ও মানববসতি আবর্জনার অন্যতম উৎস। তবে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের আবর্জনাও পাওয়া গেছে হেন্ডারসন দ্বীপে। শুধু এ দ্বীপেই কেন আবর্জনা আসছে, এ প্রশ্নের জবাবে গবেষকেরা বলছেন, সমুদ্রের পানির স্রোত হেন্ডারসন দ্বীপমুখী হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দ্বীপটির প্রাণ ও পরিবেশ। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হেন্ডারসন দ্বীপের প্রকৃতি ও পরিবেশে এখনো মানুষের হাত পড়েনি। ইউনেসকো বলছে, প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় দ্বীপটির প্রাণ-প্রকৃতি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রক্ষা পাচ্ছে এবং গবেষণার জন্য এর বাস্তুসংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এসব শুধুই প্রাতিষ্ঠানিক কথা, ২০১৫ সালে একদল গবেষক এই দ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সমুদ্রসৈকতে আবর্জনার স্তূপ দেখে তাঁরা তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন। এসব আবর্জনার টুকরোর বেশির ভাগই প্লাস্টিকের তৈরি। গবেষকেরা মনে করেন, প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টুকরো আবর্জনা দ্বীপটির সৈকতে ভেসে আসে।
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স গতকাল মঙ্গলবার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের মধ্যে হেন্ডারসন দ্বীপে থাকা প্লাস্টিকের তৈরি আবর্জনার ঘনত্বই সবচেয়ে বেশি। গবেষণাপত্রের সহকারী লেখক জেনিফার লেভারস বলেন, ‘সেখানে থাকা প্লাস্টিকের আবর্জনার পরিমাণ আশঙ্কাজনক। এটি একদিক থেকে দেখতে সুন্দর, তবে ভয়ংকর।’

তথ্যসূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

Sharing is caring!

Related Articles

Back to top button